- ভালো শুধু তোমাকেই বাসি
কবি : শবনম মাহমুদ
ভালো শুধু তোমাকেই বাসি,
প্রতিদানে ভালোবাসবার
নেই বুঝি অবসর?
থাকনা তবে, তাড়া নেই অতো!
একদিন জানি আমার কাছেই
ফিরবে অতঃপর!
নেই হারানোর কোনো ভয়,
ভেজা অভিমানে করবোনা
তাই করুণ প্রতিবাদ!
উদাস চোখে তাকিয়ে পথে
মৃদু হাসি হেসে ক্ষমা করে দেবো,
হেলায়ভরা নিরব অপরাধ!
শেষ হলে পথ ওগো পথিক
ক্লান্ত শ্রান্ত বেশেই নাহয়
ফিরে এসো এই দ্বারে!
মনে রেখো শুধু এই কথাটুকু,
আমিই তোমার শেষ ঠিকানা
এপার কিংবা সুদূরের ঐ পারে!
-----------------------------------------------------------------------------
অনুগল্প
ছেলেটি ছড়া শুনাচ্ছিলো মেয়েটিকে -
বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর
নদেয় এলো বান
শিবঠাকুরের বিয়ে হবে
তিন কন্যা দান। । । ।
মেয়েটি বলল তিন কন্যা অসম্ভব । । । ছেলেটি বলল সম্ভব সম্ভব। । । কারণ মানব চরিত্র বিচিত্র আর দেবতা চরিত্র আরো বিচিত্র । বুঝলেন দেবী । । আজও হাঁটছে মেয়েটি। । । ঐ যে দূরে হাঁটছে ছেলেটি । । । । পাশে এক নতুন কন্যে। । । ছেলেটি ছড়া শুনাচ্ছে মেয়েটিকে- বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর............
- মায়ের সম্মান নিয়ে হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এর হৃদয় বিদারক ঘটনা :
একদিন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবীজি (সা.) এর নিকট এসে কাঁদছেন। নবীজি জিজ্ঞেস করলেন, হে আবু হুরায়রা তুমি কেন কাঁদছ? জবাবে আবু হুরায়রা বললেন, আমার মা আমাকে মেরেছেন। রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কেন তুমি কি কোন বেয়াদবি করেছ?
আবু হুরায়রা বললেন, না হুজুর কোন বেয়াদবি করিনি। আপনার দরবার হতে বাড়ি যেতেআমার রাত হয়েছিল বিধায় আমার মা আমাকে দেরির কারণ জিজ্ঞেস করায় আমি আপনার কথা বললাম। আর আপনার কথা শুনে মা রাগে আমাকে মারধর করল আর বলল, "হয়ত আমার বাড়ি ছাড়বি আর না হয় মোহাম্মদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবার ছাড়বি।"
আমি বললাম, "ও আমার মা। তুমি বয়স্ক মানুষ। তোমার গায়ে যত শক্তি আছে তত শক্তি দিয়ে মারতে থাকো। মারতে মারতে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দাও। তবুও আমি আমার রাসুলকে ছাড়তে পারবো না।"
তখন রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "তোমার মা তোমাকে বের করে দিয়েছেন আর এজন্য আমার কাছে নালিশ করতে
এসেছ? আমার তো এখানে কিছুই করার নেই।"
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেন, "হে রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমি আমার মায়ের জন্য এখানে নালিশ করতে আসিনি।"
রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, "তাহলে কেন এসেছ?"
আবু হোরায়রা বললেন, আমি জানি আপনি আল্লাহর নবী। আপনি যদি হাত উঠিয়ে আমার মায়ের জন্য দোয়া করতেন, যাতে আমার মাকে যেন আল্লাহ হেদায়েত করেন।
আর তখনই সাথে সাথে রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত উঠিয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন, "হে আল্লাহ! আমি দোয়া করি আপনি আবু হোরায়রার আম্মাকে হেদায়েত করে দেন।”
রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া করলেন আর আবু হোরায়রা বাড়ির দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। পিছন থেকে কয়েকজন লোক আবু হোরায়রার জামা টেনে ধরল এবং বললো, হে আবু হোরায়রা! "তুমি দৌড়াচ্ছ কেন?"
তখন আবু হোরায়রা বললেন, "ওহে সাহাবীগণ তোমরা আমার জামা ছেড়ে দাও। আমাকে দৌড়াতে দাও।"
"আমি দৌড়াইতেছি এই কারণে যে, আমি আগে পৌঁছলাম নাকি আমার নবীজির দোয়া আগে পৌঁছে গেছে।"
হযরত আবু হুরায়রা দরজায় ধাক্কাতে লাগলো। ভেতর থেকে তার মা যখন দরজা খুললো তখন আবু হুরায়রা দেখলেন তার মার সাদা চুল বেয়ে বেয়ে পানি পড়ছে। তখন মা আমাকে বললেন, "হে আবু হুরায়রা! তোমাকে মারার পর আমি বড় অনুতপ্ত হয়েছি, অনুশোচনা করেছি। মনে মনে ভাবলাম আমার ছেলে তো কোন খারাপ জায়গায় যায়নি। কেন তাকে মারলাম? আমি বরং লজ্জায় পড়েছি তোমাকে মেরে। হে আবু হুরায়রা! আমি গোসল করেছি। আমাকে তাড়াতাড়ি রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে নিয়ে চল।"
আর তখনই সাথে সাথে আবু হুরায়রা তার মাকে রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে নিয়ে গেলেন। আর তার মাকে সেখানেই কালিমা পাঠ করে মুসলমান হয়ে গেলেন।
"পিতা মাতা জান্নাতের মাঝের দরজা। যদি চাও, দরজাটি নষ্ট করে ফেলতে পারো, নতুবা তা রক্ষা করতে পারো।" সুবাহান আল্লাহ! [তিরমিজি
- -----------------------------------------------------------------------------------------------------
- বছর দশ এক আগে; আত্মীয়দের ১০-১২ জনের একটা দল ঘুরতে গিয়েছিলাম
বসুন্ধরা-বসুমতি দেখতে!!! এখনকার মতন ছিলোনা তখন বসুন্ধরা; যতদূর চোখ যায়
শুধু বালি আর বালি, মাঝে মাঝে কাশফুলের ঝাড়!!! পিচঢালা ঝকঝকে রাস্তা
একেবেকে চলে গেছে বহুদূর; এতই পরিষ্কার যে চাইলে দিব্বি শুয়ে পরা যায়!!!
বড় একটা গাছের নিচে এক বয়স্ক লোক আঁখ বিক্রি করছিলেন; আমরা মজা করে আঁখ
খেলাম সবাই। আমাকে আর আমার বোন কে কাছে ডেকে দুজনকে ৫ টাকা করে দিলেন চকলেট
খেতে!!! আশ্চর্যের বিষয় হল তিনি আমাদের থেকে এক পয়সাও দাম নিলেন না
আঁখের!!!
আজব না বিষয়টা???
তার ছেলের চেহারা নাকি অবিকল আমার মতন ছিল; পানিতে ডুবে মরে গিয়েছিল ছেলেটা!!! আমাকে দেখে তার ছেলের কথা মনে পড়ল; ছেলের থেকে আঁখের দাম কিভাবে নেবে সে ???
এমন ঘটনা আমার জীবনে ফিরে ফিরে এসেছে বহুবার!!!
পুরনো বইর এক দোকানদার একবার অনেক গুলো বই এমনি এমনি দিয়ে দিয়েছিলেন আমাকে, আমার কথা বলার ধরন তার এক্সিডেন্টে মরে যাওয়া ভাইর মতন বলে!!!
এক ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকানদার চায়ের দাম নেয়নি; আমার হাঁসি তার মেয়েটার মতন তাই!!!
আমি কি তবে জাতিস্মর???
অনেক গুলো মানুষ মিলে সাইদ হয়ে জন্মেছি???
মাঝে মাঝে চিন্তা করে অবাক হই!!!
----------------------------------------------------------------------
- ভারতের কেরালায় সাহলা নামের এক যুবতীর বিয়ে ঠিক হয়েছে; দুই পরিবারেই খুশির আমেজ :)
কিন্তু ঝামেলা বেঁধে গেল বিয়ের মোহরানা নির্ধারণ করার সময়; কারণ সবাই টাকা
বা স্বর্ণ মহরানা হিসেবে দিয়ে এবং নিয়ে অভ্যস্ত। কিন্তু সাহালা মোহরানা
হিসেবে চাইলেন তার পছন্দের ৫০ টি বই!!!! হাতে লিস্ট ধরিয়ে দিয়ে বই না পেলে
সে বিয়ে করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল!!!
বিয়ে হচ্ছে তার; অথচ মোহরানা দেয়া নেয়া হবে পরিবারের খুশি মতো, এটা কেমন কথা!!!
অগত্যা লিস্ট ধরে অনেক খুঁজে খুঁজে সেই ৫০ টি বই মোহরানা হিসেবে দিলেন ছেলের পরিবার; অবশেষে বিয়ে হল সাহলার
সাহলা নতুন জামাইকে কবিতা পড়ে শুনায়; নতুন একটা সুন্দর বুকশেলফ কিনে দিয়েছে তার বর, এক তাক নতুন বই নিয়ে সুখের সংসার সাহলাদের
__________________________
আমরা সবাই কেন এমন কিউট হইনা???
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
- গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন,লেখকের এই একটা Request:
সুমি এবার নবম শ্রেণীতে পড়ে, প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় ১টা ছেলে তার দিকে তাকিয়ে থাকে।
সে লক্ষ করে,ছেলেটির নাম মুরাদ।
.
মুরাদ প্রায় ১ বছর ধরে ভালবাসে সুমিকে,কিন্তু
বলতে পারে না।
কারণ সুমি খুব ধনী পরিবারের মেয়ে।আর মুরাদ গরিবের ছেলে!
.
আজ ১৪ ফ্রেব্রয়ারি।মুরাদ সাহস করে বললো,
"আমি আপনাকে ভালবাসি"!
জানি আপনি আমায় ভালবাসতে পারবেন না।
কারণ আমি গরিব" কথাগুলো বলে মুরাদ চলে গেল।
.
এই ভাবে ১টা বছর চলে গেল।এখন দশম শ্রেণীতে
সুমি।সে লক্ষ করে আজও মুরাদ তার জন্য রাস্তায়
অপেক্ষা করে।সুমি আস্তে আস্তে মুরাদের প্রেমে পড়ে যায়!
তাই সুমি বলে দিলো তার মনের কথা।
দুজনের প্রেম চলতে লাগে ১ বছর।এই ১ বছরের মাঝে দু'জন কখনো একাকি দেখা করেনি,
কেউ কারো হাত ধরে রাস্তাতেও চলেনি।
S.S.C পরীক্ষার পড়ে সুমির বিয়ে ঠিক হয়ে যায়।
কিন্তু সুমি বিয়েতে রাজি না।কারণ সুমি মুরাদকে ছাড়া আর কাউকে নিজের স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে না।
.
সুমি ফোন দিলো মুরাদ কে,
-হ্যালো মুরাদ?
-হ্যা বলো!
-তুমি আজ রাতে আমাকে পালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে?
-কেন? হঠাৎ করে কি হল?
-আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে,এই বলে সুমি কেঁদে
দিলো।
-কেঁদোনা সুমি আমি তোমাকে নিয়ে যাব!
.
ওরা ঠিক তাই করলো। সকালে দুজন বিয়ে করে মুরাদের বাসায় আসলো।
.
এদিকে সুমির পরিবার সব জেনে গিয়ে মুরাদ এর
নামে ও তার পরিবারের নামে মামলা করলো!
সুমির জবানবন্ধির কারণে কোন কিছু হলো না মুরাদ ও তার পরিবারের।সুমির বাবা সুমিকে উদ্দেশ্যে বলল, "আজ থেকে আমার কোনো মেয়ে নেই। ".
সুমির নামে ব্যাংকে ২ লক্ষ টাকা ও জমি ছিল,
তা সব তার বাবার নামে করে দিল।মুরাদ সুমিকে
বলল যে,সুমির বাবার টাকার প্রতি তার কোন লোভ নেই।
.
ভালো যাচ্ছিলো তাদের জীবন।সংসার ৭ মাস।সুমি গর্ভবতীভ তার পেটে ৩ মাসের বাচ্চা।একদিন তার কাকা এসে বলে, "মুরাদ,সুমির মা খুব
অসুস্থ সুমিকে দেখতে চাইছে,আমি দু'দিন পর ওকে দিয়ে যাব।
সুমি বলল, "আমি মুরাদ কে ছাড়া যাব না!"
মুরাদ বলল,"যাও দুদিন পরই তো চলে আসবে।"
অনেক বুঝিয়ে রাজি হয় সুমি।
সুমি অনেকক্ষণ ধরে মুরাদকে জরিয়ে ধরে।
মুরাদ সুমির কপালে চুমা দিয়ে বলে, "পাগলী বউ আমার।"
তারপর সুমি বাপের বাড়ি এসে যা হলো তা কল্পনা
করা যায় না।সুমির বাবা সুমিকে দিয়ে জোর করে
মুরাদ কে ছাড়াছাড়ি করিয়ে দেয়।জোর করে
ডাক্তারের কাছে নিয়ে অজ্ঞান করে তার বাচ্চা
নষ্ট করে দেয়।ডাক্তার তার মা-বাবাকে বলে যে
তাকে রেষ্টে রাখতে।
.
আজ দুদিন সুমি কারো সাথে কথা বলে না,একা একা কাঁদে!
সুমির ভাই,বাবা কেউ বাসায় নেই।সুমির মা পাশের বাসায় গেছে।সুমি বাসায় একা নিজের রুমের দরজা দিয়ে হাত কেটে রক্ত দিয়ে লিখলো, "এই পৃথিবীতে আমার আপন বলতে একজন আছে সে আমার মুরাদ।
মা তুমি একটা মেয়ে হয়ে আমার স্বামীর ঘর ছাড়া
করলে? তুমি এক মা হয়ে আমাকে মা হওয়া থেকে
বঞ্চিত করতে পারলে? এতটুকু লিখেই সুমি আত্মহত্যা করে!!!
.
হয়তো গল্পটি পড়ে আপনার অদ্ভুদ একটা অনুভূতি হবে,আর হ্যা এটা সত্যিকারের গল্প।
No comments:
Post a Comment